আমাদের সম্পর্কে
সংস্থার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
জাতীয় তরুণ সংঘ ১৯৬৬ সনে ঢাকার লালবাগ থানার অন্তর্গত হাজারীবাগ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে হাজারীবাগে ৭ম তলা বিশিষ্ট ‘তরুণ ভবন’ নামে সংগঠনটির একটি নিজস্ব ভবন রয়েছে। এটি জাতীয় তরুণ সংঘের কেন্দ্রীয় দপ্তর। এখান থেকে জাতীয় তরুণ সংঘের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সংগঠনটির নিম্নোক্ত কার্যক্রম দেশ, বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে সংগঠনটি ‘বিশ্ব যুব সংস্থা’ (WAY) এবং আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য প্রতিরোধ সংস্থা (IOGT) এর অন্যতম সদস্য। প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম, যুব নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ, শিক্ষা কার্যক্রম, পানি এবং পয়ঃ নিস্কাশন কার্যক্রম, শিশুদের মেধা বিকাশের কার্যক্রম, মদ ও মাদক প্রতিরোধ কর্মসূচী, রক্তদান কর্মসূচী, বৃক্ষরোপন কার্যক্রম, মাছচাষ ও গণশিক্ষা পরিচালনা করে আসছে। ১৯৭৩ সনে সংগঠনটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয় এবং পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি লাভ করে। যুব সমাজকে বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সংগঠনটি দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে। দেশের আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডে যুব সমাজকে বিভিন্ন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং যুব সম্প্রদায়কে আত্ম-নির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এটি ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। জাতীয় তরুণ সংঘের দেশব্যাপী বহু শাখা রয়েছে এবং এ শাখার সদস্যদের নিয়ে ‘যুব পার্লামেন্ট’ নামে একটি পরিষদ রয়েছে। এ পার্লামেন্টে দেশের ৬৪টি জেলা থেকে মনোনীত প্রতিনিধি রয়েছে। ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং ৮২ সদস্যের সমন্বয়ে সাধারণ পরিষদ রয়েছে।
সংস্থার আদর্শ ও উদ্দেশ্য

ইহা একটি স্বেচ্ছাসেবী ও সমাজকল্যাণমূলক জাতীয় ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান।
জাতির সর্বাংগীন কল্যাণ সাধন করা ও তরুণদের আদর্শ নাগরিকে পরিণত করাই এই সংস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ও আদর্শ।
নিয়মিত বিভিন্ন উপলক্ষ্যে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা (বিভিন্ন প্রদর্শনী, প্রতিযোগিত ইহার অন্তর্ভুক্ত)।
জাতিসংঘের মানবাধিকারের ভিত্তিতে শিশু ও যুব কল্যাণমূলক কর্মসূচী গ্রহণ করা এবং সামাজিক ন্যায় বিচার কায়েম করা।
খেলাধুলা, শরীর চর্চা এবং নানাবিধ সুকুমার কলা শিক্ষার ব্যবস্থা করা। যুব প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
পাঠাগার ও তথ্যকেন্দ্র স্থাপন ও নিজস্ব মুখপত্র প্রকাশ করা।
বিভিন্ন আলোচনা সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, শিক্ষা শিবির এবং কেন্দ্র স্থাপন করা। বিজ্ঞান আন্দোলন জোরদার করা।
সমবায় কেন্দ্র, সবজী বাগান, কুটির শিল্প, হস্তশিল্পের মাধ্যমে জনসাধারণের বিশেষ করে তরুণদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কল্যাণ সাধন করা। গ্রামমুখী উন্নয়ন প্রচেষ্টা গড়ে তোলা।
সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ থেকে জনগণকে দুরে রক্ষাকল্পে ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক অপরাধীদের সাধনকল্পে কর্মসূচী গ্রহণ করা, অপরাধমূলক সমাজ গড়া। ধূমপান, মাদকদ্রব্য ও যৌতুক বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলা। মানবাধিকার, নিয়ন্ত্রীকরণ ও পরিবেশ দুষণমুক্ত করণ কর্মসূচী জোরদার করা।
নিজ দেশে এবং অন্যান্য দেশের এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক যুব ও অন্যান্যদের সংগে সহযোগিতা ও যৌথ কর্মপন্থা অবলম্বন করে চলা, যাতে বিশ্ব শান্তি, ভ্রাতৃত্ব বন্ধন এবং মানবতার জয় হয়।
তরুণ সমাজকে প্রতিটি জাতীয় সমস্যা সমাধানের শ্রেষ্ঠ বাহন রূপে গড়ে তোলা এবং কাজে নিয়োজিত করা।
ইসলাম ধর্মের মহান আদর্শ অর্থাত পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে যতদুর সম্ভব সকল কর্মসূচী বাস্তবায়িত করা এবং অপর ধর্মাবলম্বীদের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করা ও পরধর্ম সহিষ্ণুতা অবলম্বন করা।
